কক্সবাজারেরর পেকুয়া উপজেলায় ৫টি আগ্নেয়অস্ত্রসহ যুবককে আটকের ঘটনায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান ( র্যাব) বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা ষ্টেশন থেকে ৫টি আগ্নেয়অস্ত্রসহ ওই যুবককে আটক করে র্যাব। আটককৃত যুবকের নাম নুরুচ্ছবি (৩২)। তিনি উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়া এলাকার মো.ইসহাকের ছেলে বলে জানা গেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৭) এর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ইউনিট এর সদস্যরা ওইদিন উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা ষ্টেশনে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাকে আটক করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। পরে আজ শনিবার সকালে র্যাব আটককৃত ব্যক্তিকে পেকুয়া থানা পুলিশকে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে র্যাব-৭পতেঙ্গা ইউনিটের এসআই মো. আলমগীর বাদি হয়ে ওইদিন পেকুয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করে। যার নং-১৩/১৬। মামলায় নুরুচ্ছবিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রাজাখালীর ছড়ি পাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে চট্টগ্রাম বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল র্যাবের হাতে আটক নুরুচ্ছবি। অস্ত্র ব্যবসা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল ওই যুবক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। নুরুচ্ছবির সাথে রাজাখালী ইউনিয়নের আরো বেশ কয়েকজন লোক অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। র্যাব ৫টি আগ্নেয়অস্ত্রসহ নুরুচ্ছবিকে আটক করলেও তার ব্যবসায়ী পার্টনাররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এছাড়াও রাজাখালী ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ভাই ও র্যাবের হাতে আটক নুরুচ্ছবির সাথে অস্ত্র ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করতো। নুরুচ্ছবি গ্রেফতারের পর থেকে ওই জনপ্রতিনিধির ভাই এলাকা লাপাত্তা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: